Header Ads






এজাহারের নমুনা


বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ
জয়দেবপুর থানা, জেলা গাজীপুর।
বিষয়ঃ এজাহার প্রসংগে ।

জনাব,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নিবেদন এই যে, আমি মোহাম্মদ মারুফ হোসেন (৩৩), পিতা মোঃ আব্দুল সালাম, গ্রামঃ পোড়াবাড়ী বাজার, থানাঃ জয়দেবপুর, জেলা। গাজীপুর। অদ্য ২০-৯-২০২১ তারিখ সকাল ১০০০ ঘটিকায় থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে এজাহার করছি যে, গত দিবাগত রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার পিতা-মাতা, ভাই বোনসহ আমাদের দক্ষিণ দুয়ারী টিনের ঘরের জানালা দরজা বন্ধ করে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক ০২০০ ঘটিকায় ঘরের দরজায় বিকট একটা শব্দ শুনতে পাই এবং আমার ঘুম ভেংগে যায়। তারপর বাহির থেকে আমার নাম ধরে বলে দরজা খোল না হলে রক্ষা নেই। আমি তখন ডাকাত এসেছে বলে বুঝতে পারি। ঘরের মধ্যে চুপ করে দাড়িয়ে থাকি। ডাকাতরা তখন আমার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আমাদের পূর্ব ভিটার রান্না ঘর থেকে ঢেকি এনে ঘরের পূর্ব দিকের কাঠের দরজা ভেংগে সাত আট জন ডাকাত হাতে পিস্তল, রামদা, টর্চ লাইটসহ আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। ২/৩ জন ডাকাত রশি দিয়ে আমাকে হাত পা সহ ঘরের খুটির সাথে বেঁধে ফেলে এবং একজন ডাকাত আমার বুকের উপরে পিস্তল ধরে রাখে। আমার এ অবস্থা দেখে আমার মা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। ডাকাতরা আলমারির চাবির জন্য আমাকে মারধর করে। এর পর আমি বলি যে, বালিশের নিচেই আলমারির চাবি আছে। ডাকাতরা চাবি দিয়ে আলমারি খুলে টাকা, কাপড় এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার সময় আমার বৃদ্ধ পিতা চিৎকার করিলে একজন ডাকাত এগিয়ে এসে তার মাথায় পিস্তল দিয়ে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। তাদের বয়স আনুমানিক ২৫/৩০ বছর। তারা স্থানীয় বাংলা ভাষায় কথা বলেছে। আমি কাহাকেও ভালভাবে চিনতে পারিনি। আহত চিকিৎসা ও বাড়ীর সবার সাথে আলোচনা করিয়া এজাহার দায়ের করিতে সামান্য বিলম্ব হইল ।

ডাকাতরা নিম্নলিখিত মালামাল ঘর থেকে নিয়ে যায়।

ক। স্বর্ণালংকার (১০ ভরি) = ২,৫০,০০০ টাকা।
খ। কাপড় চোপড় = ১০,০০০ টাকা।
গ। নগদ টাকা = ৪০,০০০ টাকা।
মোট = ৩,০০,০০০ টাকা


অতএব উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে মহোদয়ের মর্জি হয়।


নিবেদক
মোহাম্মদ মারুফ হোসেন
গ্রামঃ পোড়াবাড়ী বাজার,
থানাঃ জয়দেবপুর,
জেলাঃ গাজীপুর।

No comments

Powered by Blogger.