RAB to Driving Course || ❝ র্যাব থেকে ড্রাইভিং কোর্স ❞
শিরোনাম
সূচিপত্র
 
৫. যানবাহন কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ?
৬. গাড়ি মার্চিং ও স্টপিং এর সময় করণীয়
৭. গাড়ি চালানোর পূর্বে, চালানোর সময়, ও চালানোর পরে করণীয়
৮. ইঞ্জিন কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ? ইঞ্জিনের ২০ টি অংশের নাম লিখ ?
 
 
 
 
১৪. ইঞ্জিন যত্ন ও কুলিং পদ্ধতির রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ ?
 
 
১৮. চাকা কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ?
১৯. ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ? গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের সময় করণীয় কি ?
২০. যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে করণীয়ঃ
২১. বোঝা বা লোড নেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয়ঃ
 
২৩. লগ বই কাকে বলে ? কত অংশ কি কি ?
 
২৫. কোন কোন স্থানে গাড়ি ওভারটেকিং করা নিষেধ ?
 
২৭. একজন চালকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে লিখ ?
২৮. কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্কিং করা নিষেধ ?
২৯. গাড়ির মার্চিং, গিয়ার পরিবর্তন ও স্টপিং এর নিয়ম লিখ ?
৩০. গাড়ির চাকা খোলা ও জোড়ার নিয়ম লিখ ?
৩১. একটি মাইক্রোবাস চালাতে হলে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় ?
 
 
 
১. MT অর্থ কি ?
২. যানবাহনে আরোহণের দোয়া
  
   বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 
    সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনকলিবুন। 
৩. বি ভেয়িকেল গাড়ি
  
  
  
  গাড়ির প্রাথমিক যন্ত্র
 ১. Steering wheel [ স্টিয়ারিং হুইল ] 
    ২. gear box [ গিয়ার বক্স ] 
    ৩. A - Accelerator  [ এক্সিলারেটর ] 
    ৪. B - Brake  [ ব্রেক ] 
    ৫. C - Clutch  [ ক্লাচ ] 
  
৪. মহাসড়ক কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ?
মহাসড়ক
  
  মহাসড়ক সংকেতঃ বাংলাদেশে সড়ক বিভাগকর্তৃক অনুমোদিত মানুষ এবং যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তার উভয় পাশে ভূমি থেকে ৫ মিটার উপরে লক্ষ্য বস্তু থেকে ৫০ গজ সামনে নির্দিষ্টি রং দিয়ে যে সাংকেতিক চিহ্ন আঁকা হয় তাকে মহাসড়ক সংকেত বলে।
মহাসড়ক সংকেত প্রধানত ২ প্রকার
 ১. রোড সাইন। 
২. রোড সিগনাল। 
 
১. রোড সাইন আবার ৩ প্রকার
 ক. বাধ্যতা মূলক 
খ. সতর্কতা মলক 
গ. তথ্য মূলক 
২. রোড সিগনাল আবার ২ প্রকার।
 ক. হাতের সাহায্যে। 
খ.বাতির সাহায্যে। 
৫. যানবাহন কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ?
যানবাহনঃ জনগন,পশু-পাখি ও মালামাল এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তর করার যে যান্ত্রিক মাধ্যম ব্যবহার করা হয় তাকে যানবাহন বলে।
যানবাহন ৩ প্রকার
 ১. হালকা মোটরযান [ A VehicleVehicle ] 
  ২. মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান  [ B Vehicle ] বি ভেহিকেল ইঞ্জিনে, ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে HD-30 ব্যবহার করা হয়। 
  ৩. ভারী মোটরযান [ C Vehicle ]  
১. হালকা মোটরযানঃ যে সকল মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ০ থেকে ৭,৫০০ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে। হালকা মোটরযানের উদাহরণ হলো: মোটরগাড়ি, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, হিউম্যান হলার, অ্যাম্বুলেন্স, পিকআপ, জিপ ইত্যাদি। সড়ক আইনের ২ এর ৫৩ উপধারা।
২. মধ্যম বা মাঝারি মোটরযানঃ মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান এর ক্ষেত্রে, মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ৭,৫০০ কেজি থেকে ১২,০০০ কেজির অধিক নয়, তখন তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে। মধ্যম বা মাঝারি মোটরযানের উদহারণ হলো: মিনিবাস, মিনিট্রাক জাতীয় গাড়ি ইত্যাদি।
  ২. ভারী মোটরযানঃ  ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে, মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ১২,০০০ কেজি থেকে তার অধিক, তখন তাকে ভারী মোটরযান বলে। মোটরযান আইনে ভারী যানবাহনের মধ্যে পড়ে — বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, বিশেষ যানবাহন (লরি, মিক্সচার মেশিনবাহী যান) ইত্যাদি। 
  
  ★ ৬ ধারা
  ★ পুলিশ সার্জন, এস আই ও উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ গাড়ির কাগজ পত্র দেখতে পারে। ধারা হলো - ১০৯ ধারা। 
 
  ★ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে - ১১০ ধারা।
  ★ কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করণ বা জাল শনাক্তকরণ - ১১১ ধারা 
  
৬. গাড়ি মার্চিং ও স্টপিং এর সময় করণীয়
গাড়ির মার্চিং এর সময় করণীয়
 ১. গাডির প্রথম কর্মমালার কাজ সম্পূর্ন করতে হবে। 
    ২. অনুমোতি গ্রহণ। 
    ৩. সিটে উঠার সাথে সাথে সিট একজাস্ট  করে নিতে হবে। 
    ৪. নিট বেল্ট লাগাতে হবে। 
    ৫. গিয়ার লেবেল নিউটাল করতে হবে। 
    ৬. লুকিল গ্লাস একজাস্ট করে নিতে হবে। 
    ৭. ক্লাস পুস করে স্টার্ট করতে হবে। 
    ৮. গাড়ি ১নং গিয়ারে লাগাতে হবে। 
    ৯। গাড়ি মার্চ করার সময় অবশ্যই ডানে ইন্টিকিটার দিতে হবে। 
 
    
    
গাড়ি স্টপিং এর সময় করণীয়
 ১. বামে ইন্টিকিটার দিতে হবে। 
    ২. হালকা ব্রেক করতে হবে। 
    ৩। ব্রেক ও ক্লাস এক সাথে চাপতে হবে। 
    ৪. গাড়ি নিউটাল করতে হবে। 
    ৫. গাড়ির ইন্টিকিটার বন্দ করতে হবে। 
    ৬. গাড়ি বন্ধ করতে হবে। 
    ৭. গাড়ির ক্লাস ও ব্রেক থেকে পা তুলে নিতে হবে। 
    ৯. ১ নং গিয়ারে লাগিয়ে হ্যান্ড ব্রেক লাগিয়ে দিতে হবে।
  
৭. গাড়ি চালানোর পূর্বে, চালানোর সময়, ও চালানোর পরে করণীয়
গাড়ি চালানোর পূর্বের কাজ
 ১. পরিচয় পত্র নিতে হবে। 
    ২. প্রতিবেদন ফরম নিতে হবে। 
  ৩. ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে। 
    ৪. মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিতে হবে। 
    ৫. মটরযানের টেক্স টোকেন নিতে হবে। 
    ৬. মটরযানের ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে। 
    ৭. মটরযানের ক্রিকেট নিয়ে নিতে হবে। 
    ৮. রোড পারমিট সার্টিফিকেট নিতে হবে।
  
গাড়ি চালানোর সময় কাজ
 ১. অনুমোদিত ও সংক্ষিপ্ত রতাই পরিচালনা করা। 
 
  ২. রাস্তার আইন-কানুন মেনে চলা।
  ৩. ট্রাফিক পুলিশ কে মেনে চলে। 
  ৪. রাস্তার উভয় পাশের যে সংকেত দেওয়া আছে তা মেনে চলা। 
    ৫. উপযুক্ত বেলায় বাতি চালাতে হবে। যদি কোন আদেশ নিষেধ না থাকে। 
    ৬. বিভিন্ন জায়গায় গতি চিহ্ন মেনে চলা। 
    ৭. গাড়ি রেখে চালক কোথাও যাবে না। 
  
গাড়ি চালানোর পরের কাজ
 ১. ডিউটি থেকে ফেরার পর MT SI কে জানাতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সিসি জমা দিতে হবে। 
  ২. জ্বালানি ও তেল পরীক্ষার সময় MT SI এর সাথে থাকতে হবে। 
    ৩. কোন দুর্ঘটনা হলে MT SI কে জানাতে হবে। 
    ৪. কোন টুলস হারিয়ে গেলে MT SI কে জানাতে হবে। 
    ৫. যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে MT SI কে জানাতে হবে। 
    ৬. কর্তব্যে থাকাকালীন কোন বিপদ হলে MT SI কে জানাতে হবে।
  
৮. ইঞ্জিন কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ? ইঞ্জিনের ২০ টি অংশের নাম লিখ ?
  
  ইঞ্জিনঃ ইঞ্জিন হলো শক্তির উৎস। যে সিস্টেমের মাধ্যমে জ্বালানিকে পুড়িয়ে তাপ শক্তিতে রূপান্তর করা হয়। উক্ত তাপ শক্তি রাসায়নিক শক্তির মাধ্যমে যান্ত্রিক শক্তিতে পরিণত করাকে ইঞ্জিন বলে।
ইঞ্জিন ২ প্রকার
 1. Internal combustion engine 
    ১. অভ্যন্তরীণ জ্বলন ইঞ্জিন 
2. External combustion engine 
২. বাহ্যিক দহন ইঞ্জিন 
পিস্টন অনুযায়ী ইঞ্জিন ২ প্রকার
 ১. টু স্টোক। 
    ২. ফোর স্টোক। 
ইঞ্জিনের ২০ টি যন্ত্র অংশের নামঃ
 ১. সিলিন্ডার। 
    ২. পিস্টন। 
    ৩. ইঞ্জেক্টর। 
    ৪. স্ট্যাটাস মটর। 
    ৫. ডিপ স্টিক। 
    ৬. লাইনার। 
    ৭. ভাল্ব। 
    ৮. ওয়েল সাম্প। 
    ৯. সিলিন্ডার হেড। 
    ১০. সিলিন্ডার ব্লোক। 
    ১১. ক্র্যাক শ্যাফট। 
    ১২. কেম শ্যাফট। 
    ১৩. ওয়াটর পাম্প। 
    ১৪. কম্প্রেশন রিং 
    ১৫. ওয়েল রিং 
    ১৬. কানেক্টিং রোড। 
    ১৭. পিস্টন পিন। 
    ১৮. গজন পিন। 
    ১৯. রকার আর্ম। 
    ২০. ফ্লাই হুইল। 
    ২১. ক্লাস প্লেট। 
    ২২. প্রেসার প্লেট। 
  
৯. ইঞ্জিন অত্যাধিক উত্তাপের কারণঃ
ইঞ্জিন অত্যাধিক উত্তাপের কারণঃ
 ১. থার্মোষ্ট্যাট ভাল্ব সময় মত খোলেনা। 
২. পানি কম থাকলে। 
৩. ছিদ্র পথের মাধ্যমে পানি পড়ে যায়। 
৪. ফ্যান বেল্ট ঢিলা। 
৫. ওয়াটার পাম্প অকেজো। 
৬. রেডিয়েটর পাইপ বন্ধ। 
৭. ত্রুটি যুক্ত লুব্রিকেশন পদ্ধতি। 
১০. ইঞ্জিন সাদা ধোয়া মারার কারণ ?
ইঞ্জিন সাদা ধোয়া মারার কারণঃ
 ১. ফুয়েল বাস জ্বালানির সাথে পানি মিশ্রিত হলে। 
  ২. ভাল্ব নষ্ট হলে। 
  ৩. লাইনার ফেটে গেলে। 
  ৪. লাইনারের সিল নষ্ট হয়ে গেলে সাদা ধোয়া মারতে পারে। 
  
১১. লুব্রিকেশন কাকে বলে ? ইঞ্জিন অয়েলের নাম ও সময় কাল লিখ ?
লুব্রিকেশনঃ লুব্রিকেশন পদ্ধতি হলো ইঞ্জিন পিচ্ছিল করার পদ্ধতি। ইঞ্জিনের যন্ত্র অংশগুলোকে ঘর্ষণের থেকে রক্ষা করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকে লুব্রিকেশন বলে।
ইঞ্জিন অয়েলের নাম
  ১. HD-30  (ইঞ্জিন অয়েল)  [মেয়াদকালঃ- ৩ থেকে ৪ মাস বা ৪ হাজার কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করতে হবে।] 
     ২. GX-90  (ট্রান্সমিশন অয়েল)  [মেয়াদকালঃ- ১২ মাস বা ১৮ হাজার কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করতে হবে।] 
     ৩. 20w-40  (মোটর সাইকেলের জন্য)  [মেয়াদকালঃ-  মাস বা  হাজার কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করতে হবে।] 
     ৪. DOT-4  (ক্লাস ও ব্রেক ফ্লুইড) [মেয়াদকালঃ-  মাস বা  হাজার কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করতে হবে।] 
১২. কুলিং সিস্টেম কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ?
কুলিং সিস্টেমঃ যে পদ্ধতি বা সিস্টেম এর মাধ্যমে ইঞ্জিন এর অতিরিক্ত তাপকে অপসারণ করা হয় তাকে কুলিং সিস্টেম বলে।
কুলিং সিস্টেম ২ প্রকার
 ১. ওয়াটার কুলিং সিস্টেম [ Water Cooling System ] 
২. এয়ার কুলিং সিস্টেম [ Air Cooling System ] 
  ১. ওয়াটার কুলিং সিস্টেমঃ  রেডিয়েটরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়াকে ওয়াটার কুলিং সিস্টেম বলা হয়। গাড়ীর ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওয়াটার কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। 
 ২. এয়ার কুলিং সিস্টেম  যে প্রক্রিয়ায় ইঞ্জিন বাতাসের সংস্পর্শে তাপ অপসারণ করে তাকে এয়ার কুলিং সিস্টেম বলে। অর্থাৎ এয়ার কুলিং সিস্টেমে ইঞ্জিন বাতাসের সংস্পর্শে তাপ অপসারণ করার মাধ্যমে ঠান্ডা হয়। 
১৩. কুলিং সিস্টেম এর যন্ত্র অংশের নাম লিখ ?
কুলিং সিস্টেম এর যন্ত্র অংশের নাম
 ১. রেডিয়েটর। 
    ২. লোয়ার হুস পাইপ। 
    ৩. ওয়াটার জ্যাকেট। 
    ৪. ওয়াটার পাম্প। 
    ৫. থার্মোস্টের ভাল্ব।  
    ৬. আফার হুস পাইপ 
  
১৪. ইঞ্জিন যত্ন ও কুলিং পদ্ধতির রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ ?
ইঞ্জিন যত্ন ও কুলিং পদ্ধতির রক্ষণাবেক্ষণ নিম্নরূপঃ
 ১. রেডিয়েটরের পানির সমতা রক্ষা করা। 
২. প্রেসারাইজড পদ্ধতির রেডিয়েটরের ক্যাপ সাবধানে খুলতে হবে। 
৩. যে কোন ধরনের লিকের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। 
৪. ড্রেইন কর্ক পরিষ্কার ও শক্তভাবে লাগাতে হবে। 
৫. পুরো কুলিং সিষ্টেম পরিষ্কার রাখতে হবে। 
৬. ফ্যান বেল্ট ফ্রি প্লের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে (১২.৫ মিঃমিঃ থেকে ১৯ মিঃ মিঃ)। 
৭. প্রয়োজন বোধে থার্মোষ্ট্যাট ভাল্ব পরিবর্তন করতে হবে। 
৮. ওয়াটার পাম্পকে গ্রীজ নং-৪ দ্বারা লুব্রিকেশন করতে হবে। 
৯. টাস্ক নং ১ অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ  করতে হবে। 
১০. বছরে দুইবার (মে এবং অক্টোবর মাসে) কুলিং পদ্ধতিকে ফ্লাস করতে হবে। 
১৫. পাওয়ার ইউনিটের অংশ সমূহ কি কি ?
পাওয়ার ইউনিটের অংশ সমূহঃ
 ১. ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম। 
  ২. ইগনিশন সিস্টেম। 
  ৩. কুলিং সিস্টেম। 
  ৪. লুব্রিকেশন সিস্টেম। 
  ৫. বৈদ্যুতিক জেনারেটর ও টোরেজ ব্যাটারী। 
  ৬.অতিরিক্ত সংযোজন।  
ফুয়েল সাপ্লাই সিষ্টেমেরঃ
ফুয়েল সাপ্লাই সিষ্টেমেরঃ যে সিস্টেমের মাধ্যমে ফুয়েল ট্যাংক হতে ফুয়েল ফিল্টার, ইনজেকশন পাম্প হয়ে ইনজেক্টর পর্যন্ত সাপ্লাই করে তাকে ফুয়েল সাপ্লাই সিষ্টেম বলে।
ফুয়েল সাপ্লাই সিষ্টেমের প্রয়োজনীয় অংশগুলোর নাম
 ১. ফুয়েল ট্যাংক। 
২. ফুয়েল পাইপ। 
৩. ফুয়েল ফিল্টার। 
৪. ফুয়েল পাম্প (ডিজেল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ফিড পাম্প এবং পেট্রোল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে এসি ফুয়েল পাম্প। 
৫. কার্বোরেটর (পেট্রোল ইঞ্জিনের জন্য) অথবা ইনজেকশন পাম্প (ডিজেল ইঞ্জিনের জন্য)। 
৬. ইনজেকটর। 
৭. কম্বাশন চেম্বার। 
১৬. গিয়ার সিস্টেম
 গিয়ার সিস্টেমের কার্যপ্রনালী
 ১. রাস্তার অবস্থা ও বোঝা অনুসারে চাকার শক্তি ও গতি পৌছাতে চালককে সাহায্য করে। 
    ২. নিউটাল অবস্থার সৃষ্টি করা। 
    ৩. গাড়ীকে উল্টো দিকে চলতে সাহায্যে করা। 
    ৪. যান্ত্রিক টায়ার পাম্প / পাওয়ার টেক অফ। 
গিয়ার বক্সের যন্ত্রাংশ
১. গিয়ার বক্স কেসিং 
    ২. পাইমারী শ্যাফট। 
    ৩. কাউন্টার শ্যাফট বা লে শ্যাফট। 
    ৪. মেইন শ্যাফট। 
    ৫. সেংক্রোনাইজিং ইউনিট। 
    ৬. রিভার্স গিয়ার। 
    ৭1 সিলেক্ট মেকানিজম।
  
১৭. সপ্তম কর্মমালা কাকে বলে ? বিবরণ দাও।
সপ্তম কর্মমালাঃ র্যাব বাহিনীর গাড়ি গুলোকে যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ ও যুদ্ধের উপযুক্ততা রাখার জন্য ৭ দিনের কাজ ৫ দিনে সম্পূর্ন করাকে সপ্তম কর্মমালা বলে।
সপ্তম কর্মমালার বিবরণঃ
 A = সাধারণ কাজঃ  বিস্তারিত 
     B = বৈদ্যুতিক কাজঃ  বিস্তারিত 
     C = কন্ট্রোলার এর কাজঃ  বিস্তারিত 
     D = ড্রাইভঃ  বিস্তারিত 
     E = ইঞ্জিনঃ  বিস্তারিত 
     F = ফ্রেম এন্ড ফিটিং -  বিস্তারিত 
     G = গ্রীজ এন্ড লুব্রিকেশনঃ  বিস্তারিত 
  
সপ্তম কর্মমালার কোন দিন কোন কাজ করতে হয়।
  ১. শনিবার =   ১ ও ২ নং কর্মমালার কাজ করতে হবে। 
     ২. রবিবার =   ১ ও ৩ নং কর্মমালার কাজ করতে হবে। 
     ৩. সোমবার =   ১ ও ৪ নং কর্মমালার কাজ করতে হবে। 
     ৪. মঙ্গলবার =   ১ ও ৫ নং কর্মমালার কাজ করতে হবে। 
     ৫. বুধবার =   ১ ও ৬ নং কর্মমালার কাজ করতে হবে। 
     ★ =  ৭ম কর্মমালা গাড়ির মেইনটেনেন্স ডে এর কাজ করতে হবে। 
  
১৮. চাকা কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি
 চাকাঃ কোন যানবাহনের পিষ্টতলে যে বৃত্তাকার বস্তু থাকে যা মাটির সংস্পর্শে থেকে একস্থান হতে অন্যস্থান নিয়ে যেতে সাহায্য করে তাকে চাকা বলে।
চাকা ২ প্রকার
 ১. বায়াচ। 
  ২. রেডিয়াল।
চাকার ৫ টি অংশ
 ১. হুইল ড্রাম। 
  ২. রিং। 
    ৩. গ্রেটার। 
    ৪. টিউব। 
    ৫. টায়ার। 
  
চাকা পরিবর্তনের সময়কাল
  ১. চাকা পরিবর্তনঃ  ৪০ হাজার কিলোমিটার পর পর চাকা বাদ দিতে হবে। 
     ২. হুইল রটেশনঃ  ১০ হাজার কিলোমিটার পর পর চাকা একচাকা খুলে অন্য চাকায় লাগাতে হবে। যেমনঃ- ১ নং চাকা খুলে ২ নং চাকায় লাগাতে হবে। আবার ২ নং চাকা খুলে ৩ নং চাকায় লাগাতে হবে। আবার ৩ নং চাকা খুলে ৪ নং চাকায় লাগাতে হবে। আবার ৪ নং চাকা খুলে ৫ নং চাকায় লাগাতে হবে। আবার ৫ নং চাকা খুলে ১ নং চাকায় লাগাতে হবে।
  
১৯. ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ? গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের সময় করণীয় কি ?
ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ নির্দিষ্ট গাড়ি চালোনার জন্য BRTA কর্তৃক যে অনুমতি দেয় তাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের সময় করণীয়ঃ
 ১. BRTA ওয়েবসাইটে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে হবে। 
  ২. নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফি দিতে হবে। 
    ৩. ফি দেওয়ার পর রশিদ সংগ্রহ করতে হবে। 
    ৪. ক্রেতার নমুনা স্বাক্ষর নিতে হবে। 
    ৫. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমনঃ- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, গাড়ির কাগজপত্র, বিদ্যুৎ বিলের সত্যায়িত কপি, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার নিতে হবে।
  
২০. যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে করণীয়ঃ
 ১. অনুমতি ব্যতীত ব্যক্তিকে গাড়ি চালাতে দিবে না। 
     ২. কোন বেআইনি ব্যক্তি কে গাড়িতে বহন করা যাবে না। 
     ৩. সামনে চালক ব্যতীত একজনই বসবে।  
     ৪. কোন ব্যক্তি রানিং সাইট ও তের বুটে চড়বে না। 
     ৫. যাত্রী বা তারক কেউ গাড়িতে ধূমপান করবে না।
  
২১. বোঝা বা লোড নেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয়ঃ
 ১. কোন বেআইনে মালামাল গাড়িতে বহন করা যাবে না। 
    ২. চালককে যেকোনো সময়ে গাড়িতে বোঝা পূরণ করতে হতে পারে। 
    ৩. গাড়িতে যেন অতিরিক্ত বোঝা না হয় সেদিকে চালককে খেয়াল রাখতে হবে। 
    ৪. গাড়ির বডির সব সাইটে সমান বোঝা নিতে হবে। 
    ৫. গাড়ির মালামালের জন্য চালক দায়িত্ব থাকবে।
  
২২. ব্যাটারি কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ?
 ব্যাটারিঃ এক কথাই ব্যাটারিকে বৈদ্যুতিক স্টোরেজ বলা হয়। যে ইউনিট বা ডিভাইসের মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিকে তাপ শক্তিতে রূপান্তর করে তাকে সেল বলে। একাধিক সেল একত্রে মিলে যে ডিভাইস তৈরি করে তাকে ব্যাটারি বলে।
ব্যাটারির ২ প্রকার
১. প্রাইমারি সেল ব্যাটারি। 
    ২. সেকেন্ডারী সেল ব্যাটারি। 
  
ব্যাটারির যন্ত্রাংশের নাম
 ১. কনটেনার। 
    ২. টামিনাল পোষ্ট। 
    ৩. পজেটিভ টামিনাল। 
    8. নেগেটিভ টামিনল। 
    ৫. সেল কভার। 
    ৬. প্লাগ/ কর্ক। 
    ৭. ফিলার হোল। 
    ৮. ব্রীজ পিচ। 
    ৯. গ্রীড। 
    ১০. সেপারেটর। 
  
ব্যাটারি যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ
 
১. কুশন ও কেরিয়ারের মধ্যে ব্যাটারিকে ভালোভাবে ফিট করতে হবে। 
২. ইলেকট্রোলাইট লেবেল প্লেট হতে ১/৪ ইঞ্চি উপরে হবে এবং স্পেসিফিক গ্রাফিটি ১.১৮০ হতে কম হবে না। 
৩. উভয় টার্মিনাল পরিষ্কার থাকতে হবে এবং পেট্রোলিয়াম জেলী দ্বারা হালকাভাবে প্রলেপ দিতে
হবে। 
৪. সেন্ট কাগজ দ্বারা টার্মিনাল পরিষ্কার করতে হবে। প্রত্যেক দিন কাগজ বা ফাইল ব্যবহার করা উচিত নয়। 
৫. ফিলার প্লাগ পরিস্কার ও টাইট রাখতে হবে। 
    
৬. বাতাস চলাচল থাকবে। 
৭. এক টুকরা কাপড় ভিজাইয়া ব্যাটারির বাহিরের দিক দৈনিক পরিষ্কার করতে হবে। 
    
৮. খোলা আগুন শিখা ইহার নিকট আনা উচিৎ না। 
৯. অফ রোড গাড়ি ব্যাটারি প্রিয়ডিক্যাল চার্জ এবং ডিসচার্জ করাইতে হবে। 
    
১০. কম চার্জ যুক্ত ব্যাটারি ব্যবহার করবে   না। 
    
১১. ব্যাটারি কখনও ওভার চার্জ করা উচিৎ নয়। ওভার চার্জিং এর ফলে তাপ এবং এসিড উৎপন্ন হয়ে পজেটিভ এবং নেগেটিভ প্লেটের মধ্যে শর্ট সার্কিট তৈরি করে। 
১২. স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশী পানি সেলে দিতে হয় না। 
১৩. ইঞ্জিন স্টার্ট না হলে সেল্প স্টার্টার বেশী করে চাপ দেওয়া ঠিক নয়। 
১৪. লীভার অথবা হাতুড়ী ব্যাটারি টার্মিনাল ফিট করার জন্য ব্যবহার করা উচিৎ নয়। 
১৫. ব্যাটারি পরিষ্কার করতে গিয়া শর্ট সার্কিট তৈরি করা ঠিক নয়। 
১৬. টাক্স নং ২ অনুসারে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। 
২৩. লগ বই কাকে বলে ? কত অংশ কি কি ?
লগ বই কাকে বলে ?
লগ বইঃ ক
লগ বই এর ৬ টি অংশ
 ১. গাড়ির ধরণ। 
  ২. চালকের রেকর্ড। 
  ৩. বদলী রেকর্ড। 
  ৪. মেরামত, ওভার হোলিং ও এসেম্বলির রেকর্ড। 
  ৫. চাকা ও ব্যাটারির রেকর্ড। 
  ৬. চলতি কিলোমিটার রেকর্ড। 
২৪. গাড়ির ১০ টি টুলসের নাম কি কি ?
গাড়ির ১০ টি টুলসের নামঃ
 ১. জ্যাক উইথ হ্যান্ডেল। 
      ২. হ্যামার। 
      ৩. ওপেন স্পিনার। 
      ৪. রিং স্পিনার। 
      ৫. এডজাস্ট ক্যাবল। 
      ৬. ফ্লাট স্ক্রু ড্রাইভার। 
      ৭. ফ্লিপস স্ক্রু ড্রাইভার। 
      ৮. প্লাস বা হেবি ডিউটি প্লাস। 
      ৯. কাটিং প্লাস। 
      ১০. হুইল ব্রাশ অথবা হুইল স্টপার। 
    
২৫. কোন কোন স্থানে গাড়ি ওভারটেকিং করা নিষেধ ?
যে যে স্থানে গাড়ি ওভারটেকিং করা নিষেধ
 ১. ওভারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে। 
      ২. জাংশনে। 
      ৩. ব্রিজ/কালভার্টের উপরে ও তার আগে পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব। 
      ৪. সরু রাস্তায়। 
      ৫. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়। 
    ৬. বাজারের ভিতর। 
    ৭. গোল চত্বরে। 
    ৮. রাস্তার মোড়ে। 
    ৯.  
    ১০. 
২৬. দুর্ঘটনা কত প্রকার কি কি ? ১০ কারণ লিখ ?
দূর্ঘটনা ৩ প্রকার
 ১. ভয়াবহ।  
  ২. গুরুতর।  
  ৩. ক্ষ্রদ্রত্বর। 
দূর্ঘটনা ঘটার ১০ টি কারণঃ
 ১. ত্রুটিযুক্ত যানবাহন চালালে। 
  ২. অদক্ষ ড্রাইভার হলে। 
  ৩. অভার লোড হলে। 
  ৪. চোখে ঘুম থাকলে। 
  ৫. অমনোযোগী হলে। 
  ৬. ট্রাফিক আইন না মানলে। 
  ৭. নেশাগ্রস্ত থাকলে। 
  ৮. গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে। 
  ৯. সিট বেল্ট না বাঁধলে। 
  ১০. প্রতিযোগিতা মনোভাব থাকলে। 
 
২৭. একজন চালকের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে লিখ ?
একজন চালকের দায়িত্ব কর্তব্যঃ
 ১. গাড়ি চালানোর পূর্বে গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র ও ড্রাইডিং লাইসেন্স চেক করে নিন এবং হালনাগাদ কাগজপত্র সাথে রাখুন। 
২. অযথা হর্ণ বাজানো থেকে বিরত থাকুন। 
৩. সিটবেল্ট বেঁধে গাড়ি চালান। 
৪. গাড়ি চালানোর সময় গতিসীমা মেনে চলুন।
৫. ঘনঘন লেন পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকুন। 
৬. অযথা ওভারটেকিং করা থেকে বিরত থাকুন এবং সতর্কতার সাথে ওভারটেকিং করুন। 
৭. স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের লোগোসহ স্থায়ী স্টিকার ব্যতীত আলগা/অস্থায়ী যে কোন ধরণের স্টিকার ব্যবহার হতে বিরত থাকুন। 
৮. দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গাড়ির যন্ত্রাংশ নিয়মিত চেক করে নিন। 
৯. উল্টো পথে যে কোন যান চালানো থেকে বিরত থাকুন। 
১০. গাড়ি চলাচলের নির্ধারিত পথে গাড়ি পার্ক করে প্রতিবতন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। 
১১. ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবেন না। 
১২. ক্লান্ত/অসুস্থ/মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো হতে বিরত থাকুন। 
১৩. সর্বদা বাম লেন চালু রাখুন। 
১৪. ইন্টারসেকশন এবং রাস্তায় যাত্রী উঠানো/নামনো হতে বিরত থাকুন। 
১৫. ট্রাফিক আইন ও সিগন্যাল জানুন এবং মেনে চলুন। 
১৬. বাস-বে/ নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করবেন না। 
১৭. গাড়ি থামানোর ক্ষেত্রে সর্বদা রাস্তার বাম ঘেঁষে থামাবেন। 
২৮. কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্কিং করা নিষেধ ?
যেসব স্থানে গাড়ি পার্কিং করা নিষেধঃ
 ১. যেসব স্থানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড থাকে সেখানে পার্ক করা যাবে না। 
 ২. জাংশনে পার্ক করা যাবে না। 
৩. ব্রিজের বা বালভার্টের ওপর পার্কিং করা নিষেধ। 
৪. সরু রাস্তায় পার্ক করা যাবে না। 
৫. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বা এলাকায় পার্কিং নিষেধ। 
৬. ফুটপাত ও পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে পার্কিং নিষেধ। 
৭. পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায় পার্ক করা যাবে না। 
৮. বাস স্টপ ও এর আশেপাশে পার্কিং নিষেধ। 
৯. রেলক্রসিং ও এর আশেপাশে পার্ক করা যাবে না।
২৯. গাড়ির মার্চিং, গিয়ার পরিবর্তন ও স্টপিং এর নিয়ম লিখ ?
গাড়ির মার্চিং এর নিয়মঃ
 ১. প্রশিক্ষককে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন। প্রশিক্ষকের অনুমতি নিয়ে গাড়িতে ওঠা। 
    ২. গাড়ির সিট এডজাস্টমেন্ট করা। 
    ৩. সিটবেল পরিধান করা। 
    ৪. সাইড মিরর ঠিক করা।
    ৫. ক্লাচ চেপে মার্চিং গিয়ারে লাগানো।
    ৬. হ্যান্ড ব্রেক ছাড়া।
    ৭. ডানে এন্টিকেটার দেওয়া।
    ৮. ডানে বামে দেখে সাবধানে মার্চিং করা।
    
গাড়ির গিয়ার পরিবর্তনের নিয়মঃ
 ১. গিয়ার পরিবর্তনের আগে ক্লাচ চাপা।
    ২. নিম্ন গিয়ার হতে উচ্চ গিয়ারে নিতে, গাড়ির গতি পরিমাণ মতো আনা।
    ৩. উচ্চ গিয়ারে লাগানো।
    ৪. আস্তে আস্তে ক্লাচ ছাড়া ও পরিমাণ মতো গ্যাস দেওয়া।
    ৫. গাড়ির উচ্চ গিয়ার হতে নিম্ন গিয়ারে আনতে ব্রেক চেপে পরিমাণ মতো গতিতে আনা।
    ৬. গিয়ার পরিবর্তন করা।
    ৭. আস্তে আস্তে ক্লাচ ছাড়া ও গ্যাস দেওয়া।
    
গাড়ির স্টপিং এর নিয়মঃ
 ১. পরিস্থিতি ও আদেশ অনুযায়ী ব্রেক প্যাডেল চাপা। 
      ২. ব্রেক ও ক্লাচ চেপে বামে ইন্টিকিটার দিয়ে গাড়ি নির্দিষ্ট স্থানে থামানো। 
      ৩. গাড়ি নিউটাল করা। 
      ৪. হ্যান্ড ব্রেক লাগানো। 
    
৩০. গাড়ির চাকা খোলা ও জোড়ার নিয়ম লিখ ?
গাড়ির চাকা খোলার নিয়মঃ
 ১. হ্যান্ড ব্রেক লাগানো ও গিয়ারে লাগানো। 
      ২. যে চাকা খুলতে হবে সে চাকা ব্যতীত বাকি তিনটা চাকাই হুইল স্টোপার দিয়ে জ্যাম দেওয়া। 
      ৩. হুইল ব্রাশের সাহায্যে চাকার নাট লুজ করে নেওয়া। 
      ৪. জ্যাক ও জ্যাক হ্যান্ডেল নির্দিষ্ট স্থানে লাগানো। 
      ৫. জ্যাকের সাহায্যে গাড়ি আপ করা। 
      ৬. বিশেষ সতর্কতার জন্য গাড়ির জ্যাক হ্যান্ডেলের পাশে গাছের গুড়ি দেওয়া। 
      ৭. ভূমি হতে চাকা ২/৩ ইঞ্চি উপরে উঠলে বোল্ড সম্পূর্ণ খুলে চাকা নামিয়ে নেওয়া। 
    
গাড়ির চাকা জোড়ার নিয়মঃ
 ১. চাকাকে গাড়ির হাফসে বিশেষ পদ্ধতিতে তোলা ও লাগানো। 
      ২. বোল্ড হাত দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া। 
      ৩. সতর্কতার সাথে জ্যাক থেকে গাড়িকে নামানো। 
      ৪. হুইল ব্রাশের সাহায্যে চাকার বোল্ট যথাযথ ভাবে টাইট দেওয়া।
    
একটি মাইক্রোবাস চালাতে হলে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়
একটি মাইক্রোবাস চালাতে হলে ৫ প্রকার কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ঃ
 ১. গাড়ির ট্যাক্স টোকেন। 
    ২. রোড পারমিট। 
    ৩. ফিটনেস সার্টিফিকেট। 
    ৪. রেজিস্ট্রেশন কাগজ। 
    ৫. ড্রাইভিং লাইসেন্স। 
  
৩২. ব্রেকের প্রয়োজনীয়তা কি ? ব্রেকের বিভিন্ন অংশের নাম ?
ব্রেকের প্রয়োজনীয়তাঃ
একটি ব্রেক একটি যান্ত্রিক ডিভাইস যা চলমান সিস্টেম থেকে শক্তি শোষণ করে গতিকে বাধা দেয়। এটি একটি চলমান যানবাহন, চাকা, অ্যাক্সেলকে ধীর বা থামানোর জন্য বা এর গতি রোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, প্রায়শই ঘর্ষণ দ্বারা সম্পন্ন হয়।
ব্রেকের বিভিন্ন অংশের নামঃ
 ১। ব্রেক প্যাডেল। 
২। পুশ রড 
৩। বেকম বুষ্টার 
৪। ব্রেক ফ্লুইড কন্টিনার 
৫। মাষ্টার সিলিন্ডার কিট 
৬। ব্রেক ফ্লইড লাইন 
৭। ব্রেক সু 
৮। ব্রেক ড্রাম 
৯। ব্রেক ডিক্স 
১০। ব্রেক কেবল।
৩৩. ফোর স্টোক ইঞ্জিন ও টু স্টক ইঞ্জিন এর মধ্যে পার্থক্য লিখ ?
ফোর স্টোক ইঞ্জিনঃ
সিলিন্ডারের ভিতরে পিস্টন চারবার ওঠানামা এবং ক্রাং শ্যাফট দুইবার ঘূর্ণনকে ফোর স্টোক ইঞ্জিন বলে।
টু স্টোক ইঞ্জিনঃ
সিলিন্ডারের ভিতরে পিস্টন দুইবার ওঠানামা এবং ক্রাং শ্যাফট একবার ঘূর্ণনকে টু স্টোক ইঞ্জিন বলে।
ফোর স্টোক ইঞ্জিন ও টু স্টক ইঞ্জিন এর মধ্যে পার্থক্যঃ
| ফোর স্টোক ইঞ্জিন | টু স্টোক ইঞ্জিন | 
|---|---|
| ১. ইঞ্জিনের ধারাবাহিক কার্যক্রম চারটি স্ট্রোকের মাধ্যমে সংঘটিত হয়, যেখানে একটি মাত্র পাওয়ার স্ট্রোক থাকে। | ১. ইঞ্জিনের ধারাবাহিক কার্যক্রম দুটি স্ট্রোকের মাধ্যমে সংঘটিত হয়, যেখানে একটি মাত্র পাওয়ার ষ্টোক থাকে। | 
| ২. বড় ধরনের ফ্লাই হুইল থাকে। | ২. ছোট বা হালকা ফ্লাই হুইল থাকে। | 
| ৩. তুলনামূলকভাবে কম শক্তি সম্পন্ন ইঞ্জিন, যার ইঞ্জিন ভারী এবং বড়। | ৩. তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিসম্পন্ন। (প্রকৃতপক্ষে ১:০ গুন) ইঞ্জিন যার ইঞ্জিন ছোট এবং হালকা। | 
| ৪. কুলিং এবং লুব্রিকেশনের বেশি প্রয়োজন পড়ে না। তাপও কম উৎপাদিত হয়। | ৪. কুলিং এবং লুব্রিকেশনের বেশি প্রয়োজন পড়ে। বেশি তাপ উৎপাদিত হয়। | 
| ৫. এ ধরনের ইঞ্জিনে ভাল্ব এবং ভাল্ব মেকানিজম থাকে। | ৫. কোন ভাল্ব থাকে না। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে রীড ভাল থাকে। | 
| ৬. প্রাথমিক মূল্য অনেক বেশি। | ৬. প্রাথমিক মূল্য অনেক কম। | 
| ৭. থারমাল ইফিসিয়েন্সি বেশি। | ৭. থারমাল ইফিসিয়েন্সি অনেক কম। | 
| ৮. ভলিউমেট্রিক ইফিসিয়েন্সি বেশি। | ৮. ভলিউমেট্রিক ইফিসিয়েন্সি অনেক কম। | 
| ৯. যেখানে কর্মদক্ষতা বেশি প্রয়োজন সে সব ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন, বাস, ট্রাক, ট্রাক্টর, উড়োজাহাজ ইত্যাদি। | ৯. যেখানে কর্মক্ষমতা মোটামুটি কম সে সব ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন, স্কুটার, মোটর সাইকেল ইত্যাদি। | 
৩৪. মোড় পরিবর্তন এবং উল্টো দিকে ঘুরানোর সময় একজন চালকের কি কি বিষয়ে দৃষ্টি রাখা উচিত ?
মোড় পরিবর্তনের সময় করণীয়ঃ
 ১. গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। 
  ২. গাড়ির গতি নিম্ন গিয়ারে আনতে হবে  
  ৩. যেদিকে মোড় ওইদিকে এন্টিকেটার দিতে হবে। 
  ৪. মিরর দেখে সতর্কতার সাথে মোড় ঘুরতে হবে। 
  ৫. বিপরীত দিক থেকে গাড়ি আসলে তাকে আগে যেতে দিতে হবে। 
উল্টো দিকে ঘুরানোর সময় করণীয়ঃ
 ১. ডানে এন্টিকেটার দিয়ে সাইড মিরর দেখতে হবে। 
  ২. বিপরীত দিক থেকে গাড়ি আসলে তাকে আগে যেতে দেওয়া। 
  ৩. সতর্কতার সাথে উল্টা ঘুরে নিজের লেনে ফিরে যাওয়া। 
  

No comments