Header Ads






র‍্যাব অস্ত্র প্রশিক্ষণ পুস্তিকা

  1. রাইফ্লিংঃ- অস্ত্রের ব্যারেলের ভিতরের ঘূর্ণায়মান বা প্যাঁচানো খাচ বা কাটা দাগকে রাইফ্লিং বলা হয়। নীচু বা গর্তের ন্যায় অংশকে বলা হয় গ্রুভস এবং উচু অংশকে বলা হয় ল্যান্ড।
  2. ক্যালিবারঃ- গ্রুভসের গভীরতাকে বাদ দিয়ে বিপরীত দুই ল্যান্ডের মধ্যবর্তী দূরত্বকে ক্যালিবার বলে বা বোরের ডায়ামিটার বা ব্যাসকে ক্যালিবার বলা হয়।
  3. মাজেল ভেলোসিটিঃ- একটি ফায়ারকৃত বুলেট অথবা প্রজেক্টাইল যে গতির সাথে অস্ত্রের মাজেল ত্যাগ করে তাকে মাজেল ভেলোসিটি বলে।
  4. সাইট রেডিয়াসঃ- ব্যাক সাইট ইউ এবং ফ্রন্ট সাইট টিপ এর মধ্যবর্তী দূরত্বকে সাইট রেডিয়াস বলে।
  5. ট্রাজেক্টরীঃ- একটি বুলেট ফায়ার করার পর বায়ুমন্ডলে উড্ডয়নকালে যে বক্র পথ অতিক্রম করে তাকে ট্রাজেক্টরী বলে।
  6. এইমিংঃ- ফায়ারারের প্রয়োজনীয় চক্ষু ব্যাক সাইড ইউ, ফ্রন্ট সাইড টিপ এবং লক্ষ্যবস্তুর লক্ষ্যবিন্দুতে যে একটি কাল্পনিক সরল রেখার সৃষ্টি হয় তাহাকে এইম বলে।
  7. ফায়ারিংঃ- অস্ত্রকে সঠিকভাবে ধরা সঠিবভাবে লোড এবং সঠিক লক্ষ্যস্থির করার পর শ্বাস প্রশ্বাস এর মধ্যবর্তী বিরতিকালীন সময়কে ৪ থেকে ৫ সেকেন্ড বর্ধিত করে আস্তে আস্তে ট্রিগার প্রেস করাকেই ফায়ারিং বলে।
  8. মেকসেফঃ- আপতকালীন সময় শত্রুর উপর দ্রুত ও কার্যকরী ফায়ার দেওয়ার জন্য অস্ত্রের ভিতর নিরাপদে গুলি ধারন করে রাখার পদ্ধতিকে মেকসেফ বলে।
  9. প্রতিবন্ধকতাঃ- ফায়ারের শুরুতে অথবা ফায়ার চলাকালে ফায়ারারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং গুলির ত্রুটির জন্য হঠাৎ ফায়ার বন্ধ হয়ে যাওয়াকে প্রতিবন্ধকতা বলে।
  10. আশুব্যবস্থাঃ- উক্ত প্রতিবন্ধকতার কারণকে উদ্ঘাটন করে পূণরায় অস্ত্রকে ফায়ারের উপযোগী করে তোলাকে আশুব্যবস্থা বলে।


বৈশিষ্ট্যঃ- ৯ টি নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

  1. পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় তবে এক এক করে গুলি ফায়ার করা যায়।
  2. গ্যাস দ্বারা পরিচালিত।
  3. বাতাসে ঠান্ডা হয়।
  4. ম্যাগাজিন হতে গুলি পায়।
  5. উচ্চ ফায়ার ক্ষমতা সম্পন্ন।
  6. নির্ভুল ফায়ার করা যায়।
  7. গ্রেনেড লঞ্চার সংযুক্ত।
  8. বেয়নেট সংযুক্ত যা প্রয়োজনে আলাদা করা যায়।
  9. ১০ - ৬০ ডিগ্রি উত্তোলন কোনে গ্রেনেড ফায়ার করা যায়।

ফায়ারের প্রকারভেদঃ- ২ প্রকার

  1. এক এক গুলি।
  2. বার্ষ্ট ফায়ার।

ফায়ারের কার্যকরী ক্ষমতাঃ-

কার্যকরী রেঞ্জ ৪০০ মিঃ
ছত্রী সেনা ও বিমানের বিরুদ্ধে ৫০০ মিঃ
সম্মিলিত শত্রুর বিরুদ্ধে ৮০০ মিঃ
প্রজেক্টাইল ছেদন করতে পারে ১৫০০ মিঃ
সর্বাধিক দূরত্ব ২০০০ মিঃ

নিরাপত্তামূলক কাজ

  1. অস্ত্রের নিরাপত্তামূলক কাজ করা।
  2. যে অংশ সর্ব প্রথমে খোলা হয় সে অংশগ্রাউন্ড শীটে সর্ব ডানে থেকে ক্রমান্বয়ে বাম দিকে সাজিয়ে রাখা ।
  3. হ্যামার যুক্ত অস্ত্রকে কক করে খোলা।
  4. প্রয়োজনীয় বড় অংশকে ছোট অংশে পরিণত করা
  5. পেঁচানো অংশকে প্যাঁচিয়ে প্যাঁচিয়ে খোলা ।
  6. লোহা দ্বারা লোহার অংশে আঘাত না করা, প্রয়োজনে কাঠের হাতুড়ী ব্যবহার করা।
  7. খোলার সময় কোন অংশ আটকে গেলে জোর প্রয়োগ না করা, প্রয়োজনে আরমোরার অথবা ওয়ার্কশপের সাহায্য নেওয়া।

সাধারণ ভাবে এই অস্ত্রকে ১০ অংশে খোলা হয়

  1. ম্যাগাজিন।
  2. সংগীন।
  3. সিলিং।
  4. ক্লিনিং কিট্স।
  5. রিসিভার কভার।
  6. বোল্ড এন্ড বোল্ড ক্যারিয়ার।
  7. কাউন্টার রিকয়েল ম্যাকানিজম।
  8. পিষ্টন কভার।
  9. পিষ্টন।
  10. ব্যারেল এন্ড রিসিভার।

পরিস্কার সামগ্রীঃ-

  1. চিন্দি ২" / ৪"
  2. পরিস্কার নরম কাপড়৷
  3. চেম্বার ষ্টিক।
  4. টুথ ব্রাশ।

তৈলাক্ত করণঃ-

ক। কাঠের অংশে - লেনসিড ওয়েল।
খ। চামড়ার অংশে - ডায়াবিন ওয়েল।
গ। লোহার অংশে আবার ৪ ধরনের তৈল ব্যবহার করা হয় যেমনঃ-

  1. ও এক্স - ১৩
  2. ও এক্স - ৫২
  3. ক্যাষ্ট্রল হাইস্পিন - ৮০ সি
  4. ক্যাষ্ট্রল মিনারেল ওয়েল (আই এস ও ভিসকোসিটি গ্রেড - ৪৬)



বৈশিষ্ট্যঃ- ৬ টি নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

  1. পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় তবে এক এক করে গুলি ফায়ার করা যায়।
  2. গ্যাস দ্বারা পরিচালিত।
  3. বাতাসে ঠান্ডা হয়।
  4. ম্যাগাজিন হতে গুলি পায়।
  5. রাইফেলের ন্যায় ব্যাবহার করা যায়।
  6. সম্মুখ যুদ্ধের জন্য একটি আদর্শ অস্ত্র।

ফায়ারের প্রকারভেদঃ- ২ প্রকার

  1. এক এক করে গুলি ফায়ার করা যায়।
  2. বার্ষ্ট ফায়ার।

ফায়ারের কার্যকরী ক্ষমতাঃ-

কার্যকরী রেঞ্জ ৪০০ মিঃ
ছত্রী সেনা ও বিমানের বিরুদ্ধে ৫০০ মিঃ
সম্মিলিত শত্রুর বিরুদ্ধে ৮০০ মিঃ
প্রজেক্টাইল ছেদন করতে পারে ১৫০০ মিঃ
সর্বাধিক দূরত্ব ২০০০ মিঃ

নিরাপত্তামূলক কাজ

  1. চেঞ্জ লিভার সেফ পজিশন করা।
  2. ম্যাগাজিন খুলে দেওয়া।
  3. চেঞ্জ লিভার ফায়ার পজিশন করা ।
  4. অস্ত্রকে কক করে ডান হাতের সাহায্যে ধরে রাখা ।
  5. ইজেকশন স্লট দিয়ে অস্ত্রের ভিতর ও বাহির পরীক্ষা করা ।
  6. অপারেটিং পার্টসকে সামনে ছেড়ে দেওয়া।
  7. ট্রিগার প্রেস করা।
  8. চেঞ্জ লিভার সেফ পজিশন করা।
  9. ম্যাগাজিনকে লাগিয়ে দেওয়া।

সাধারণ ভাবে এই অস্ত্রকে ৮ অংশে খোলা হয়

  1. ম্যাগাজিন।
  2. সিলিং।
  3. ক্লিনিং কিট্স ম্যাটারিয়াল।
  4. রিসিভার কভার।
  5. কাউন্টার রিকয়েল ম্যাকানিজম।
  6. বোল্ড এন্ড বোল্ড ক্যারিয়ার।
  7. গ্যাস সিলিন্ডার।
  8. ব্যারেল এন্ড রিসিভার।

পরিস্কার সামগ্রীঃ-

  1. চিন্দি ২" / ৪"
  2. পরিস্কার নরম কাপড়৷
  3. চেম্বার ষ্টিক।
  4. টুথ ব্রাশ।

তৈলাক্ত করণঃ-

ক। কাঠের অংশে - লেনসিড ওয়েল।
খ। চামড়ার অংশে - ডায়াবিন ওয়েল।
গ। লোহার অংশে আবার ৪ ধরনের তৈল ব্যবহার করা হয় যেমনঃ-

  1. ও এক্স - ১৩
  2. ও এক্স - ৫২
  3. ক্যাষ্ট্রল হাইস্পিন - ৮০ সি
  4. ক্যাষ্ট্রল মিনারেল ওয়েল (আই এস ও ভিসকোসিটি গ্রেড - ৪৬)



বৈশিষ্ট্যঃ- ৫ টি নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

  1. অর্ধ-স্বয়ংক্রিয়।
  2. রিকয়েল দ্বারা পরিচালিত।
  3. বাতাসে ঠান্ডা হয়।
  4. ম্যাগাজিন হতে গুলি পায়।
  5. নিকট যুদ্ধের জন্য আদর্শ অস্ত্র এবং আত্মরক্ষার জন্য উত্তম।

ফায়ারের কার্যকরী ক্ষমতাঃ-

কার্যকরী রেঞ্জ ৫০ মিঃ
সর্বাধিক রেঞ্জ ১৬০০ মিঃ

নিরাপত্তামূলক কাজ

  1. হ্যামার সেফ পজিশন করা ।
  2. ম্যাগাজিন খোলা ।
  3. হ্যামার ফায়ার পজিশন করা।
  4. স্লাইডকে টেনে পিছনে আনা এবং স্লাইড কেস এক্সটেন্‌শনে আটকিয়ে দেওয়া।
  5. ইজেকশন স্লড দিয়ে চেম্বার দেখা ।
  6. প্লাইড সামনে করা ।
  7. ট্রিগার প্রেস করা ।
  8. হ্যামার সেফ পজিশন করা ।
  9. ম্যাগাজিন লাগিয়ে দেওয়া ।

সাধারণ ভাবে এই অস্ত্রকে ৮ অংশে খোলা হয়

  1. ম্যাগাজিন।
  2. স্লাইড ক্যাচ।
  3. বডি।
  4. ফায়ারিং ম্যাকানিজম।
  5. রিকয়েল স্প্রিং।
  6. ব্যারেল লক্।
  7. ব্যারেল।
  8. স্লাইড।

ওজন

  1. শূণ্য ম্যাগাজিন সহ পিস্তলের ওজন = ০.৮৫ কেজি।
  2. ভরা ম্যাগাজিনের ওজন = ০.১৭ কেজি।
  3. শূণ্য ম্যাগাজিনের ওজন = ০.০৮ কেজি।

পরিস্কার সামগ্রীঃ-

  1. চিন্দি ২” / ৪”
  2. পরিস্কার নরম কাপড়৷
  3. চেম্বার ষ্টিক।
  4. টুথ ব্রাশ।

তৈলাক্ত করণঃ-

ক। কাঠের অংশে - লেনসিড ওয়েল।
খ। চামড়ার অংশে - ডায়াবিন ওয়েল।
গ। লোহার অংশে আবার ৪ ধরনের তৈল ব্যবহার করা হয় যেমনঃ-

  1. ও এক্স-১৩
  2. ও এক্স-৫২
  3. ক্যাষ্ট্রল হাইস্পিন-৮০ সি
  4. ক্যাষ্ট্রল মিনারেল ওয়েল (আই এস ও ভিসকোসিটি গ্রেড-৪৬)



বৈশিষ্ট্যঃ- ৬ টি নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

  1. অর্ধ-স্বয়ংক্রিয়।
  2. রিকয়েল দ্বারা পরিচালিত।
  3. বাতাসে ঠান্ডা হয়।
  4. ম্যাগাজিন হতে গুলি পায়।
  5. ওয়ান হ্যান্ড লোডেড।
  6. নিকট যুদ্ধের জন্য আদর্শ অস্ত্র এবং আত্মরক্ষার জন্য উত্তম।

ফায়ারের কার্যকরী ক্ষমতাঃ-

কার্যকরী রেঞ্জ ৫০ মিঃ
সর্বাধিক রেঞ্জ ১৬০০ মিঃ

নিরাপত্তামূলক কাজ

  1. সেফটি কেস সেফ পজিশন করা।
  2. ম্যাগাজিন খোলা।
  3. সেফটি কেস ফায়ার পজিশন করা।
  4. স্লাইডকে পিছনে টেনে হাতের সাহায্যে ধরে রাখা।
  5. ইজেকশন স্লড দিয়ে চেম্বার দেখা।
  6. স্লাইডকে সামনে করা।
  7. ট্রিগার প্রেস করা।
  8. সেফটি কেস সেফ পজিশন করা।
  9. ম্যাগাজিন লাগিয়ে দেওয়া।
  10. ম্যাগাজিন।

সাধারণ ভাবে এই অস্ত্রকে ৪ অংশে খোলা হয়

  1. ম্যাগাজিন।
  2. বডি।
  3. রিকয়েল স্প্রিং।
  4. স্লাইড।

ওজন

  1. শূণ্য ম্যাগাজিন সহ পিস্তলের ওজন = ০.৫৪ কেজি।
  2. ভরা ম্যাগাজিনের ওজন = ১৬৫ গ্রাম।
  3. শূণ্য ম্যাগাজিনের ওজন = ৭৫ গ্রাম।

পরিস্কার সামগ্রীঃ-

  1. চিন্দি ২” / ৪”
  2. পরিস্কার নরম কাপড়৷
  3. চেম্বার ষ্টিক।
  4. টুথ ব্রাশ।

তৈলাক্ত করণঃ-

ক। কাঠের অংশে - লেনসিড ওয়েল।
খ। চামড়ার অংশে - ডায়াবিন ওয়েল।
গ। লোহার অংশে আবার ৪ ধরনের তৈল ব্যবহার করা হয় যেমনঃ-

  1. ও এক্স-১৩
  2. ও এক্স-৫২
  3. ক্যাষ্ট্রল হাইস্পিন-৮০ সি
  4. ক্যাষ্ট্রল মিনারেল ওয়েল (আই এস ও ভিসকোসিটি গ্রেড-৪৬)



No comments

Powered by Blogger.