Header Ads






পোশাকের গুণ

শেখ শাদী (রঃ) সাধারনত খুবই সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। একবার এক দাওয়াতে তিনি ছেড়া ও নোংরা কাপড় চোপড় পড়ে চলে গেলেন। তাই মেজবান তাকে চিনতে না পেরে ফকির ভেবে অপেক্ষাকৃত কম ও অনুন্নত খাবার দিলেন। শেখ শাদী বিষয়টি বুঝতে পারলেন। তিনি ঐ কম ও অনুন্নত খাবার খেয়ে ফিরে এলেন এবং কিছুদিন পর আবার ভালো ও শাহেনশাহী কাপড় চোপড় পড়ে ঐ বাড়িতে গেলেন। এবার তার সামনে সকল উন্নত খাবার দাবার ও যথাযত সম্মান দেখানো হলো। তিনি খাবার খেতে বসে কিছু খেলেন এবং কিছু খাবার তার পরনে পরা জামার পকেটে ঢুকালেন । এই অবস্থা দেখে মেজবান প্রশ্ন করলেন, জনাব এটা কি করছেন ? জবাবে শেখ শাদী (র) বললেন, কিছুদিন আগে আমি এসেছিলাম, আমার শরীরে ছিলো ছেড়া ও নোংরা কাপড়। তাই আপনি আমাকে যেভাবে সম্মান দেখালেন এখন আমার বেশভুসার কারনে আমাকে তার ছেয়ে অনেক বেশি সম্মান দেখিয়েছেন। তাই ভাবলাম এই সম্মান ও খাবার দাবার আমার প্রাপ্য নয়, ওগুলো সব ঐ বেশভুসার। সেই ব্যাক্তি লজ্জিত হলেন। নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। এর কিছুদিন পরের কথা। সেই মহান ব্যাক্তিকে শেখ সাদিকে একদিন একজন প্রশ্ন করলেন, জনাব আপনি এত আদব কিভাবে শিখলেন ? তিনি জবাব দিলেন, দুনিয়ার সকল বেয়াদবদের দেখে দেখে আমি আদব শিখেছি। কিভাবে ? আবার প্রশ্ন । তিনি জবাব দিলেন, যখন বেয়াদবরা তাদের বেয়াদবি আচরণ করে আর দুনিয়ার মানুষ সেটাকে ঘৃনা করে তখন বুঝে নেই এই আচরণটা আমার করা উচিৎ নয়। এভাবেই আমি বেয়াদবদের কাছ থেকে আদব শিখি। একবার শেখ সাদিকে জিজ্ঞেস করা হলো, - আপনি এত জ্ঞানী! আপনি কি কি বুঝেন? একটা সাদাসিধে উত্তর এলো শেখ সাদীর পক্ষ্য হতে, - আমি অনেক কিছু অধ্যয়ন করে এটা বুঝেছি যে, আমি কিছুই বুঝি নি। শিক্ষাঃ মানুষকে পরিহিত কাপড় বা পোশাক দেখে বিবেচনা করা ঠিক নয়। মানুষের পরিচিতি তার আচার, বিনয় ও তার জ্ঞানে।

No comments

Powered by Blogger.