আল কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবী রাসুলদের নাম
ক্রমিক | নাম | জন্মস্থান | বয়স | কিতাব | দাওয়াত গ্রহণ | কোরআন উল্লেখ | বিবরণ |
---|---|---|---|---|---|---|---|
হজরত আদম (আ.): | শ্রীলঙ্কা | ১০০০ বছর | - | ০ জন | ৯ টি সূরার ২৫ জায়গায় | পৃথিবীর প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী। হযরত আদম (আ.) এর তাওবার ঘটনা বেশ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। শুরুতে তিনি এবং মা হাওয়া জান্নাতে ছিলেন। পরবর্তীতে দুনিয়ায় বসবাস শুরু করেন। | |
হজরত ইদ্রিস (আ.): | - | ০ বছর | - | ০ জন | ২ টি সূরার ২ জায়গায় | ইতিহাস থেকে জানা যায়, হজরত ইদ্রিস (আ.)ই প্রথম কলম আবিষ্কার করে লিখিত জ্ঞানের সূচনা করেন। এ ছাড়াও পোশাক সেলাইয়ের পদ্ধতিও তিনি আবিষ্কার করেছেন বলে জানা যায়। | |
হজরত নুহ (আ.): | জর্ডান | ৯৫০ বছর | - | ৮০ জন | ২৮ টি সূরার ৪৩ জায়গায় | তার সময়ের পৃথিবীতে আজাব হিসেবে মহা প্লাবন দেয়া হয়। | |
হজরত হুদ (আ.): | ইয়েমেন | ৪০০ বছর | - | ০ জন | ৩ টি সূরার ৭ জায়গায় | তিনি আদ জাতির কাছে প্রেরিত হয়েছিলেন। আদ জাতি খুবই উন্নত প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জাতি ছিলো। আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দেন। | |
হজরত সালেহ (আ.): | লেবানন | ৫৮৬ বছর | - | ০ জন | ৪ টি সূরার ৯ জায়গায় | তাকে ছামূদ জাতির নিকট প্রেরণ করা হয়। সালেহ (আ.)-এর মুজেযা ছিল উটনি। | |
হজরত ইব্রাহিম (আ.): | ইরাক | ১৯৫ বছর | - | ০ জন | ২৫ টি সূরার ৬৯ জায়গায় | তিনি ইরাকে জন্মগ্রহণ করেন ও ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপন করেন। পরে আল্লাহতায়ালার হুকুমে স্ত্রী ও শিশু সন্তান ইসমাঈলকে জনমানবহীন মক্কায় রেখে আসেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে আবুল আম্বিয়া বা নবীদের পিতা বলা হয়। তিনি ছেলে ইসমাঈলকে সঙ্গে নিয়ে কাবা ঘর নির্মাণ করেন ও সর্বপ্রথম মানুষকে বায়তুল্লাহর হজ করার জন্য আহবান করেন। | |
হজরত লুত (আ.): | জর্ডান | ১২৪ বছর | - | ০ জন | ১৪ টি সূরার ২৭ জায়গায় | তার স্ত্রী কাফের ছিল। তার সম্প্রদায়ের লোকেরা সমকামিতার মতো পাপে লিপ্ত ছিলো। ফলে আল্লাহতায়ালা তাদের কঠোর শাস্তি প্রদান করেন। | |
হজরত ইসমাঈল (আ.): | সৌদি আরব | ১৩৭ বছর | - | ০ জন | ৮ টি সূরার ১২ জায়গায় | জন্মের পূর্বেই তাকে বিজ্ঞ বলে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল। | |
হজরত ইসহাক (আ.): | ফিলিস্তিন | ১৫০ বছর | - | ০ জন | ১১ টি সূরার ১৭ জায়গায় | তিনি ও ইসমাঈল (আ.) সম্পর্কে ভাই ছিলেন। | |
হজরত ইয়াকুব (আ.): | ফিলিস্তিন | ১২৯ বছর | - | ০ জন | ১০ টি সূরার ১৬ জায়গায় | তার আরেক নাম হলো- ইসরাইল। তার নামানুসারে বনী ইসরাঈল সম্প্রদায়ের নামকরণ করা হয়েছে। | |
হজরত ইউসুফ (আ.): | ফিলিস্তিন | ১১০ বছর | - | ০ জন | ৩ টি সূরার ২৭ জায়গায় | এ ছাড়া সূরা ইউসুফ নামে হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ঘটনা সম্বলিত একটি স্বতন্ত্র সূরা রয়েছে কোরআনে। তিনি নিজে নবী ছিলেন এবং তার পিতা ইয়াকুব (আ.), তার দাদা ইসহাক (আ.) ও পরদাদা ইবরাহীম (আ) নবী ছিলেন। | |
হজরত শোয়াইব (আ.): | সিরিয়া | ৮৮২ বছর | - | ০ জন | ৪ টি সূরার ১১ জায়গায় | তার সম্প্রদায়ের লোকেরা মাপে বা ওজনে কম দেওয়ার প্রেক্ষিতে আজাবপ্রাপ্ত হয়েছিল। | |
হজরত আইয়ুব (আ.): | সিরিয়া | ১৪০ বছর | - | ০ জন | ৪ টি সূরার ৪ জায়গায় | আল্লাহতায়ালা তাকে দীর্ঘকাল কঠিন অসুখ দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন। কিন্তু তিনি ধৈর্যধারণ করে ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। | |
হজরত যুলকিফল (আ.): | - | ০ বছর | - | ০ জন | ২ টি সূরার ২ জায়গায় | - | |
হজরত মুসা (আ.): | মিশর | ১২৫ বছর | তাওরাত কিতাব | ০ জন | ৩৪ টি সূরার ১৩৭ জায়গায় | বনী ইসরাঈলের প্রথম নবী ছিলেন তিনি। জন্মের পর মুসা আলাইহিস সালামকে তার মা বাক্সে ভরে নীল নদে ভাসিয়ে দেন। আল্লাহর কুদরত হিসেবে পরে তিনি জালেম বাদশা ফেরাউনের বাড়ীতে লালিত-পালিত হন। নবী মূসাকে আল্লাহতায়ালা অনেকগুলো মুজেযা দিয়েছিলেন। তন্মধ্যে একটি হলো- মূসা (আ.) তার হাতের লাঠি মাটিতে রেখে দিলে তা বিশাল বড় সাপে পরিণত হতো। পরে তিনি সেটা হাতে নিলে আবার লাঠি হয়ে যেত। | |
হজরত হারুন (আ.): | মিশর | ১১৯ বছর | - | ৮০০ জন | ১৩ টি সূরার ২০ জায়গায় | তিনি নবী মূসা (আ.)-এর ভাই ছিলেন। বাগ্মীতার পারদর্শী ছিলেন তিনি। | |
হজরত দাউদ (আ.): | জর্ডান | ১২০ বছর | যাবূর কিতাব | ৮০০ জন | ৯ টি সূরার ১৬ জায়গায় | তিনি নিজে রোজগার করে সংসার চালাতেন। তিনি একদিন রোজা রাখতেন, আরেকদিন রাখতেন না। | |
হজরত সোলায়মান (আ.): | জর্ডান | ১৫০ বছর | - | ০ জন | ৭ টি সূরার ১৭ জায়গায় | তিনি সারা পৃথিবীর বাদশাহ ছিলেন। পশু-পাখীদের ভাষা বুঝাসহ মুজেযাস্বরূপ বাতাস নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা পেয়েছিলেন তিনি। | |
হজরত ইলিয়াস (আ.): | - | ০ বছর | - | ০ জন | ২ টি সূরার ৩ জায়গায় | - | |
হজরত ইয়াসা (আ.): | - | ০ বছর | - | ০ জন | ২ টি সূরার ২ জায়গায় | - | |
হজরত ইউনুস (আ.): | - | ০ বছর | - | ০ জন | ২ টি সূরার ২ জায়গায় | তাকে মাছে গিলে ফেলেছিল। পরে তিনি দোয়া করার পর আল্লাহতায়ালা তাকে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি নিনুওয়া এলাকার লোকদের নিকট প্রেরিত হয়েছিলেন। পূর্ববর্তী সমস্ত নবীর অধিকাংশ উম্মত তাদের সঙ্গে কুফরি করলেও ইউনুস (আ.)-এর সম্প্রদায়ের সবাই তার প্রতি ঈমান এনেছিলেন। | |
হজরত জাকারিয়া (আ.): | ফিলিস্তিন | ২০৭ বছর | - | ০ জন | ৪ টি সূরার ৭ জায়গায় | পেশায় কাঠুরে এই নবীর নাম। | |
হজরত ইয়াহ-ইয়া (আ.): | ফিলিস্তিন | ৯৫ বছর | - | ০ জন | ৪ টি সূরার ৫ জায়গায় | তাকে কিশোর অবস্থাতেই আল্লাহ জ্ঞানী করেছিলেন এবং তাকে তাওরাতের শিক্ষা দিয়েছিলেন। | |
হজরত ঈসা (আ.): | ফিলিস্তিন | ৯২ বছর | ইনজীল কিতাব | ০ জন | ১১ টি সূরার ২৫ জায়গায় | তিনি বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ের সর্বশেষ নবী। তার আরেক নাম মাসিহ। | |
হজরত মোহাম্মদ (ﷺ): | সৌদি আরব | ৬৩ বছর | আল কোরআন কিতাব | ৮০০ জন | ৪ টি সূরার ৪ জায়গায় | অন্যান্য স্থানে তার গুণবাচক নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অথবা আইয়ুহান নবী কিংবা আইয়ুহার রাসূল বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এটা বিশ্বনবীর সম্মান ও মর্যাদার পরিচয় বহন করে। |
No comments